একজন মহান ব্যক্তি বলেছিলেন যে, একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি শুধু তখনই বলে, যখন তার কাছে বলার কিছু থাকে। কিন্তু এরি অপরদিকে, একজন মূর্খ ব্যক্তি এজন্যই বলে, কারন সে বলতে চায়। বলারও কিন্তু অনেক ধারণা আছে। যদি আপনার মনে হয় যে আপনি কম কথা বলেন, আর এই কম কথা বলার অভ্যাসটি আপনার বড় একটি দোষ। তাহলে হয়তো এই আর্টিকেলটি শেষ হওয়ার আগেই, আপনি জেনে যাবেন যে আপনার এই চুপ থাকা। এবং কম কথা বলার অভ্যাসটির ব্যাপারে, আপনার যে দৃষ্টিভঙ্গি আছে তা একেবারেই বদলে যাবে।
আর আপনি সেই সাথে পাবেন আপনার কম কথা বলা এবং চুপ থাকার গুনটি, আপনাকে অন্যান্যদের তুলনায় অনেকটা বুদ্ধিমান এবং সফল বানাতে পারে। দেখুন, কম কথা বলার মানে এই নয় যে আপনি কম ভাবেন। কম বলার মানে এই নয়, যে আপনি কম বুঝেন। আর কম কথা বলার মানে এও নয়, যে আপনি বেশি পরিশ্রম করতে চান না। আজ এই আর্টিকেলে আপনি ৩টি এমন উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চলেছেন, যাক কেবলমাত্র কম কথা বলা মানুষদের মধ্যেই পাওয়া যায়।
১. কম কথা বলা মানুষেরা অনেক বুদ্ধিমান হয়। যখন আপনি চুপ থেকে কারো কথাকে শোনেন, বোঝেন, সেই সামনের ব্যক্তিটি তার কথা আপনার কাছে বলার সুযোগ পায়। কিন্তু সামনের ব্যক্তিটি এটা হবে না যে আপনি একজন মূর্খ ব্যক্তি। আপনি শোনেন বলেই সে আপনার সামনে বলতে ভালোবাসে। কারণ এ পৃথিবীতে ভালো শ্রোতার সংখ্যা খুবই কম। আর যেহেতু আপনি একজন গুড লিসেনার তাই সামনের ব্যক্তিটি ভাবে আপনি তার কথায় ভ্যালু দিচ্ছেন। আপনি বুঝছেন তাকে। কারণ আপনি একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি। আর যখন বাইরে থেকে কেউ আপনাকে বুদ্ধিমান ভাববে তখন আপনার নিজের মধ্যেও কনফিডেন্স বেড়ে যাবে। আপনি বুঝতে পারবেন যে চুপ থেকে কারো দুঃখের অংশীদারী হওয়া মূর্খতা নয়। বরং বুদ্ধিমানের কাজ। মনুষ্যত্ব বোধের কাজ। আরে বুদ্ধিমত্তা সত্যিই অনেক ভালো। তো এবার আপনি বলুন কম কথা বলা কি কোন দোষ? নাকি গুন।
২. দ্বিতীয় গুণ, যা কম কথা বলা মানুষদের মধ্যে পাওয়া যায়। তা হলোঃ এরা অনেক ইন্টালিজেন্ট হয়। কারণ কম কথা বলা লোকেরা একবারেই নিজের সম্পূর্ণ কথাকে বলতে জানে। এক লাইনে নিজের বক্তব্যকে রাখার কৌশল কম কথা বলা মানুষদের মধ্যেই থাকে। যে কম শব্দ দিয়ে নিজের বক্তব্যকে রাখতে পারে, নিজের কথাকে বোঝাতে পারে। তাকে ইন্টেলিজেন্ট নয়তো আর কি বলবেন? আমাদের যে ভাবনাগুলি আছে। সেগুলো অনেকটা কনসেনটেডেট এসিডের মত। এবং আমাদের শব্দও অনেকটা পানির মতো। আপনি কনসেনটেডেট এসিডে যতই পানি মেশাতে থাকবেন। সেই পানি ততই ডাইলুড হতে থাকবে। অর্থাৎ প্রয়োজনের থেকে যত বেশি শব্দকে আপনি বলবেন, ততই কম আপনার ভাবনাকে সামনের ব্যক্তিটি বুঝবে। যদি আপনি নিজের ফিলিংসকে কাউকে স্ট্রংলি বোঝাতে চান। তাহলে আপনি যতটা সম্ভব কম শব্দকে ব্যবহার করে, সে মনের ভাবকে বলুন। তাকে গল্প শোনাতে হবে না। লোকেরা কম কথা বলা ব্যক্তিদের কথাকে ভালোভাবে ধ্যান দিয়ে শোনে। তাদের কথাকে বোঝে।
৩. তৃতীয় গুণ হলো এই যে কম কথা বলা লোকেরা অনেকটা ফ্রেন্ডলি হয়। কারণ এরা অনেক সৎ মনের হয়। এবার আপনি হয়তো ভাবছেন, যে আমি তো খুব কম কথা বলি, আমার সাথে আবার কে বন্ধুত্ব করবে। বাট, রিয়েলিটি হলো এই যে কম কথা বলা লোকেরা বেশি অ্যাপ্রোচেবেল হয়। তারা কথা কি শুনতে ও বুঝতে জানে। তারা যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই বলে। এই কারণের জন্যই সে অন্যকে নিজের কথা এডিটেডও করে না। আর না তো লোকেদের সময় নষ্ট করে। তো এবার আপনি বলুন যে কম কথা বলা লোকেরা কি কম ফ্রেন্ডলি হয়? নাকি বেশি ফ্রেন্ডলি হয়? বন্ধুত্বের ফান্ডাই হলো এই যে যেন একে অপরের কথা কে বুঝে, যেন একে অপরকে শুনে। তাই না? তবে হ্যাঁ, জানি, আপনার ফ্রেন্ড সার্কেল খুবই সিলেক্টিভ। কিন্তু যারা আপনার বন্ধু আছে। যে কজন আছে, তাদের সাথে আপনার আন্ডারস্ট্যান্ডিং কতটা ভালো আছে। সেটা একবার ভেবে দেখুন।