আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব, চালাকি করে কথা বলার উপায় সম্পর্কে, কিভাবে চালাকি করে কথা বলা যায়? তাই যারা চালাকি করে কথা বলার উপায় সম্পর্কে জানতে চান, তারা অবশ্যই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
আমাদের সমাজে একটা বিষয় খেয়াল করলে দেখবেন, আমাদের মধ্যে এমন কিছু সংখ্যক লোক রয়েছেন। যারা নিজেরা তো খুব বেশি সহজ সরল, পাশাপাশি অন্যকে খুব সহজে বিশ্বাস করে ফেলি। এতে করে পরবর্তীতে দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষ আমাদের সাথে বেইমানি করে। আর আমরা খতিবা কষ্টের সম্মুখীন হই। অনেক সময় এমন হয়, এই মানুষের চালাকি বুঝতে না পেরে, এত বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় যে নিজের জীবন চলে যাওয়ার মত অবস্থা তৈরি হয়। বা সেই ক্ষতির কারণে আমাদের অনেক সময় ডিপ্রেশনে চলে যেতে হয়।
তাই, এই আর্টিকেলে আমি কিছু উদাহরণসহ এই বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। কিভাবে আপনি চালাকি করে কথা বলতে পারবেন? পাশাপাশি অন্য কেউ চালাকি করে কথা বলতে চাইলে। মানে আপনাকে ঠকাতে চাইলে, সেটি কিভাবে আপনি কথার মাধ্যমে বুঝতেও পারবেন? সর্বপ্রথম আমি একটি উদাহরণের মাধ্যমে শুরু করতে যাচ্ছি, আপনি হয়তো জানেন, সোজা গাছ খুব সহজে কাটা যায়। মানে সবচেয়ে সহজ সরল লোকেরাই সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় এই দুনিয়ায় মানুষের কষ্টের দ্বারা কষ্টের দ্বারা।
আমাদের সমাজে সব সময় এটি হয়। যদি কেউ বুঝতে পারে, আরে ওই লোকটি তো সহজ সরল। ব্যাস তাকে ঠকানো শুরু হয়ে যায়। আচ্ছা, ধরুন আপনি কোন প্যাচ পছন্দ করেন না। আপনি সব সময় সহজ সরল থাকতেই পছন্দ করেন। এমন একটি অবস্থায় যদি কেউ আপনার সাথে মিথ্যা বলে, আর তখন যদি আপনি তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি তো এই কথাটি আমাকে মিথ্যা বলেছো তাই না। তখন কি সে আপনাকে বলবে হামি মিথ্যা বলেছি? এটি কখনোই বলবে না। কারণ, যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে এবং মানুষকে ঠকায় সে কখনোই সেটি স্বীকার করে না।
তাই, এর জন্য আমাদেরকে একটু টেকনিক করে, মানে স্মুথলি চালাকি করে, তার কাছ থেকে আসল সত্যটি বের করে নিয়ে আসতে হবে। এর জন্য যেটি করতে হবে, সরাসরি তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করা যাবে না। আর তাই তার সাথে কথা বলার সময় অন্য টপিক দিয়ে কথা শুরু করতে হবে। এবং এই টপিকে একটু পরেই স্মুথলি টেকনিক করে আসতে হবে। পাশাপাশি তার Face reaction. তার ইমোশন, তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ গুলোকে মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করতে হবে। তাহলেই আপনি বুঝে যেতে পারবেন। ব্যক্তিটি কি আসলেই দোষী নাকি নির্দোষ। আর বিশ্বাস করুন সকল ইন্টালিজেন্ট এবং স্মার্ট মানুষরাই এভাবে করেই দোষী বের করে।
চলুন, ২টি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি পুরোপুরি ক্লিয়ার হওয়া যাক। ধরুন আপনার হাসবেন্ডের বা ওয়াইফের সাথে অফিসের অন্য কারো সাথে রিলেশন চলছে। আর আপনি সেটি আন্দাজ করেছেন। অথবা, কারো কাছ থেকে শুনেছেন। তখন যদি আপনি তাকে সরাসরি না জিজ্ঞাসা করে এভাবে বলেন। আচ্ছা জানো তোমার অফিসের ওই মেয়েটির তোমার অফিসেরই অন্য কারো সাথে সম্পর্ক চলছে। এখানে যদি আপনার হাসবেন্ড দোষী হয়ে থাকে, তাহলে দেখবেন সে হঠাৎ করেই ঘাবড়ে যাবে। কথাটি অস্বীকার করার চেষ্টা করবে। তারপর দেখবেন কথাটি কে কাটিয়ে অন্য কোন কথায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করবে। আর এতে করে আপনি পুরোটাই ক্লিয়ার হয়ে যেতে পারবেন। সে কি আসলেই দোষী না নির্দোষ?
আবার ধরুন, আপনি কারো সাথে রিলেশনে রয়েছেন। কিন্তু আপনার মনে হচ্ছে, সে আপনার সাথে ফেক করছে। বা আপনি তাকে কোনভাবে টেস্ট করতে চান। তখন যদি আপনি তাকে বলেন, আচ্ছা, তোমার বাসার কারো সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দাও। সে যদি রাইট হয়ে থাকে, তাহলে বলবে হ্যাঁ দিচ্ছি। বা কাল দিব বা পরশু দিব। কিন্তু সে যদি নরমাল না থেকে ঘাবড়ে যায়, কিন্তু সে যদি নরমাল না থেকে ঘাবড়ে যায়। বা তার ইনস্ট্যান্ট রিঅ্যাকশন, ফেজ ভঙ্গি এবং কথা বলার টোন থেকেই আপনি বুঝতে পারবেন সে কি আসলেই আপনাকে ভালোবাসে। নাকি আপনি মিথ্যা ভালোবাসায় জড়িয়ে রয়েছেন।
দেখুন, এগুলো তো আমি দুটি উদাহরণ দিলাম মাত্র। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে আপনি একটু চালাকি করে বের করে নিবেন। আপনার ক্ষেত্রে কি বলা যায়। এখন আপনি বলতে পারেন ভাই এগুলো তো আমরা এমনিতেই জানি নতুন করে জানার কি আছে? হ্যাঁ, আমরা এগুলো হয়তোবা জানি, কিন্তু কজনই বা নিজের লাইফ এগুলা এপ্লাই করে থাকি। আর বিশ্বাস করুন বেশিরভাগ সহজ সরল মানুষরাই। এই বিষয়গুলো বুঝতে পারে না বলেই সারা জীবন কাছের মানুষ থেকে শুরু করে, সকলেই তাদেরকে ঠকিয়ে যাচ্ছে। দেখুন, মানুষকে বিশ্বাস করা ভুল নয়। তবে খারাপ মানুষকে বিশ্বাস করা অবশ্যই ভুল। কারণ, তারা নিজের স্বার্থের জন্য অন্য মানুষ মরে গেলেও তাতেও তাদের কিছু যায় আসে না।