ক্লাস টু তে পড়া একটি বাচ্চাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় জীবন মানে কি? সে বলবে পানি। কারণ সে শুনেছে, পানির অপর নাম জীবন। ঠিক একই প্রশ্ন যদি ক্লাস ফাইভে পড়া কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয়। জীবন মানে কি? সে হা করে তাকিয়ে থাকবে। ভাববে এটা আবার কেমন প্রশ্ন? এসএসসি পাস করা কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়। জীবন মানে কি? সে বলবে *পড়াশোনা করা। *খেলাধুলা করা। *আড্ডা দেয়া। ইত্যাদি।
কিন্তু অনার্স শেষ করা ওই মানুষটাকে যদি প্রশ্ন করা হয়। জীবন মানে কি? সে বলবে জীবন খুব কঠিন। নির্দিষ্ট সংখ্যা কিভাবে দিব? আসলে জীবন খুবই জটিল। তাই এই এর উত্তর খোঁজার চেষ্টা না করাই ভালো। কারণ যখন আপনি এর উত্তরটা বের করবেন। তখন আরো একটা জটিল প্রশ্ন এসে উপস্থিত হবে আপনার কাছে। তবে জীবনের মানে যাই হোক না কেন? তাতে কি আসে যায়।
কিন্তু এই ছোট্ট জীবনটাকে কিভাবে আমরা সহজেই সহজ সরল এবং সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারি সেটি মূল বিষয়। তাই আজকের আর্টিকেলে জীবন পরিচালনার নির্দেশনা নিয়ে সফল ব্যক্তিদের জীবন অভিজ্ঞতা থেকে করা কিছু বানী আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি এই উক্তি গুলোর মাধ্যমে আপনি জীবন পরিচালনার মহামূল্যবান কিছু দিকনির্দেশনা পেয়ে যাবেন। তাই মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
*কখনো অন্যের কথামতো নিজের জীবনের বড় সিদ্ধান্তগুলো নিও না। একটা প্রবাদ সর্বদা মনে রাখবে। অন্যের বুদ্ধিতে রাজা হওয়ার চেয়ে নিজের বুদ্ধিতে ফকির হওয়া ভালো।
*ঝড় থেমে যাওয়ার অপেক্ষা করার নাম জীবন নয়, বরং বাধলা হাওয়ায় নিচে বাড়ানোর নামই জীবন। জীবনে যা কিছুই হয় তা ভালোর জন্যই হয়। এবং যা কিছু ঘটবে সেটাও তোমার ভালোর জন্যই ঘটবে।
*জীবনে যখন তোমাকে কাঁদানোর মত একশোটা কারণ উপস্থিত হবে। তখন তুমি তোমার জীবনকে দেখাও যে তোমার কাছে হাসার মতো আরো হাজারটা কারণ রয়েছে।
*জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস হল সময়। যে এটাকে ভালোভাবে ব্যবহার করবে, সে যে কোন কিছুকেই একদিন অর্জন করতে পারবে কিন্তু যে এটাকে ভালোভাবে ব্যবহার করবে না সে কোনদিনও কিছু অর্জন করতে পারবে না।
*জীবন হলো আনন্দের জন্য, সহ্য করার জন্য মোটেই নয়। জীবন হলো একটা সাইকেল চালানোর মতো ভারসাম্য রেখে তোমার একে সর্বদা চালাতেই হবে।
*জীবনে যদি কোন জিনিস তোমার ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই ভয়ের মুখোমুখি হওয়ার চেষ্টা করো এবং সে ভয়কে নির্মূল করো।
*মনে রাখবে। যখন মানুষের জীবনের পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে তখন মানুষ হয় ভেঙে পড়ে আর না হলে রেকর্ড গড়ে তোলে। “এটি হিটলারের বলা উক্তি।
*জীবন থেকে সবার আগে আমাদের প্রত্যেককে নেগেটিভ চিন্তাগুলো দূর করতে হবে। কারণ যখন আমাদের ভাবনা পজেটিভ হতে শুরু করে দেয়, তখন ধীরে ধীরে আমাদের কাজে সাফল্য আসা শুরু হয়ে যায়।
*জীবনে কারোর সাহায্যের অপেক্ষা করোনা তুমি এটা মানো আর নাই মান, তোমাকে সাহায্য করার জন্য কেউ বসে নেই। তুমি একমাত্র তোমার সাহায্য করতে পারো সারা জীবন।
*নিজের জীবনের গোপনীয় তাকে বজায় রাখো এবং সেটাকে কাউকে কোনদিন বলোনা তাহলে তুমি ভবিষ্যতে ভীষণ বড় সমস্যায় পড়বে। “এটিও একটি বিখ্যাত উক্তি।
*জীবনে তিন ধরনের মানুষকে কখনোই ভুলনা। যে তোমাকে বিপদের সাহায্য করেছে। যে তোমাকে বিপদের সময় ফেলে চলে গেছে। যে তোমাকে বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এটি হুমায়ূন আহমেদের বলা উক্তি।
*জীবনে দুনিয়াকে নয় নিজেকে বদলাও। যখন তুমি নিজে বদলে যাবে, তখন দুনিয়াও আপনা আপনি বদলে যাবে। সেই কাজটাই কর, যেটা তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের।
*জীবনে এমন অনেক কিছু ঘটে যায় যা আমরা চাই না, অথচ আমাদের সেটাকেই মেনে নিতে হয়। এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে আমরা জানতে চাই না কিন্তু তবু সেগুলোকে জানতেই হয়। এবং যেইসব মানুষদের আমরা ছাড়তে চাই না তবুও ছাড়তেই হয়।
*জীবনে কোন কিছুর উপরে ভরসা করে বসে থেকো না। নিজের ভাগ্যকে বদলাতে চাইলে, নিজের লক্ষ্যকে পূরণ করার দিকে মন দাও সর্বদা নিজের উপর ভরসা রাখো, কারণ এটা তোমাকে সাহস যোগাবে।
*আমাদের কখনোই অতীতকে নিয়ে ভাবা এবং ভবিষ্যৎকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। সর্বদা নিজের বর্তমানকে ঠিকভাবে ব্যবহার করার পিছনে আমাদের সকলের মন দেয়া প্রয়োজন, তাহলে আমরা একসময় সুন্দর জীবন কেউ উপভোগ করতে পারবো।
*জীবনে মানুষ তোমাকে ঘৃণা করবে, অবহেলা করবে, এমনকি তুচ্ছ মনে করতেও দ্বিধা করবে না। কিন্তু তাতে নিজেকে ছোট করো না, তুমি সেরা আর সেরারা কোনদিনই এইসব সামান্য ব্যাপার নিয়ে বেশি মাথা ঘামায় না।