আজ আমি আপনাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করতে যাচ্ছি । অনেকেই প্রশ্ন করেন টাইম ট্রাভেল কী? আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এই প্রশ্ন উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ । তাই টাইম ট্রাভেল সম্পর্কে যারা জানতে চান তারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এই শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত হয়েছি কেউ মুভি দেখে,কেউ হয়তো গল্পের বই থেকে আবার কেউ হয়তো ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখে। এটি কি আসলেই আমাদের জীবনে ঘটতে পারে কি? এবং ইসলাম এটা সম্পর্কে কি বলে তা নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা। তো চলুন জেনে আসি আসলে টাইম ট্রাভেল কি?
টাইম ট্রাভেল কি? (What is time travel)
টাইম ট্রাভেল বা সময় ভ্রমণ বলতে আমরা সাধারনত বুঝি সময়ের অক্ষ বরাবর ভ্রমণ। আমরা সকলেই কমবেশি তিনটি মাত্রা সম্পর্কে জানি। এগুলো হলো দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবংএকটি হচ্ছে উচ্চতা। আর এই মাত্রা তিনটি বারবার পরিবর্তন করা বা ভ্রমণ করা সম্ভব হয়।
তবে সময়ের ধারণা হচ্ছে ন্যূনতম চতুর্মাত্রিক আর একটি ধারণা । আজ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি স্থান পরিবর্তন করা এই চতুর্থ মাত্রা দিয়ে । সময়ের অক্ষ বরাবর এই স্থান পরিবর্তনকে বলা হয় কালমাত্রিক সরণ। এক সময় থেকে অন্য আর একটি সময়ে পরিভ্রমণকেও আমরা সময় ভ্রমণ বলে থাকি। এটি হতে পারে অতীতে ভ্রমণ আবার হতে পারে ভবিষ্যতে ভ্রমণ।
ইসলামে টাইম ট্রাভেল সম্পর্কে কি বলে ?
আমরা অনেকেই ভাবি যে ইসলামে এটি কোনো কিছুই উল্লেখ নেই। কিন্তু যদি আমরা আমাদের মহানবী (সাঃ) এর মেরাজ এর ঘটনা এবং ঘুমানো অবস্থায় আমদের রুহ এর অবস্থা সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে পারি তাহলে বিষয়টা আমরা ভাল ভাবে বুঝতে পারবো।
শবে মেরাজ এর ঘটনা এবং ট্রাভেল সম্পর্ক
শবে মেরাজের রাতে সাত আসমানে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর অতিক্রমের ঘটনা কম বেশি আমরা সবাই জানি। সে রাতেই তিনি মহান আল্লাহ তা’য়ালার দর্শন লাভ করেছিলেন।
আমরা জানি মহাকাশ পথটা অনেক সীমাহীন । এর এই সীমাহীন পথ মহানবী (সাঃ) অতিক্রম করেছেন খুবই অল্প সময়েই। কিন্তু তা কিভাবে সম্ভব?
আমরা জানি, গতি ও মহাকর্ষ এর উপর টাইম বা সময় ধীরে না দ্রুত চলে তা নির্ভর করে। অর্থাৎ,গতি কম হলে টাইম দ্রুত অতিবাহিত হয় আর গতি দ্রুত হলে টাইম ধীরে চলে। মহানবী (সাঃ) আল্লাহ প্রদত্ত কুদরতের দ্বারা অসাধারণ গতিতে যাওয়ায় টাইম প্রচণ্ড ধীরে চলেছিলো, যার কারণে তার কাছে যেটা মনে হয়েছিলও অনেকদিন সেটা আমাদের কাছে ছিলো এক রাত।
অর্থাৎ আমরা যদি এরকম গতিতে যাই তাহলে আমরাও টাইম ট্রাভেল করতে পারবো।এভাবেই শবে মেরাজের ঘটনা টাইম ট্রাভেলের অভিব্যক্তিকেই প্রকাশ করে।
আমাদের রুহ কতৃক টাইম ট্রাভেল
আমদের রুহ মহান আল্লাহ তা’য়ালার কাছে চলে যায় তখন ,যখন আমরা ঘুমানো অবস্থায় থাকি। আর আমরা এ সময় টাতে বিভিন্ন রকম স্বপ্ন দেখে থাকি অনেকেই। বিভিন্ন সময় আমরা স্বপ্নে আমাদের অতীতের কোনো কৃত কাজ বা ভবিষ্যৎ এর কোনো কিছু দেখে থাকি যেগুলো কয়েকদিন অনেক সময় পর বাস্তবে পরিণত হয়। এসবই হল মহান আল্লাহ তা’য়ালা প্রদত্ত কুদরতের অংশবিশেষ।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অনেক বার ভবিষ্যতের নানান ঘটনা দেখে থাকতেন যা তিনি পরে তার সাহাবীগনের কাছে পেশ করতেন।আর এভাবেই মহান আল্লাহ তা’য়ালা স্বপ্নের মাধ্যমে আমাদের টাইম ট্রাভেল সম্পর্কে ধারনা দেন। আর এটা হতে প্রমাণ হয় যে ইসলামে টাইম ট্রাভেল এর অস্তিত্ব রয়েছে।
এই পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কিছুই মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। টাইম বা সময় মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। মহান আল্লাহ তা’আলা হুকুমেই, শবে মেরাজের ঘটনা প্রমাণ করে, টাইম ট্রাভেল সম্ভব। তাই আমাদের সকলের উচিত আল্লাহ প্রদত্ত যাবতীয় নেয়ামতের জন্য শোকরগোজার করা।