মানুষের ব্রেন কতটা শক্তিশালী দেখুন

National

আমাদের প্রত্যেকের মাথার ভেতরে এক কল্পনার রাজ্য রয়েছে। যে কল্পনার রাজ্যকে বর্তমানে বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরাও বুঝতে পারিনি এখনো। পুরো মস্তিষ্ক দূরে থাক, মস্তিষ্কের শুধুমাত্র একটি ডিএন এর তথ্য উদ্ধার করতে, বিজ্ঞানীদের ঘাম ছুটে যাচ্ছে। আর সেই অপূরণীয় ডিএনএ দ্বারা তৈরি,  নিউরনের গ্ল্যাক্সির মধ্যে। পুরো একটি ইনফর্মেশনাল নেটওয়ার্ক মজুদ রয়েছে। এর ভেতরে শুধু আপনার ব্যাপারে নয়, বরং আপনার থেকে শুরু করে, বাবা আদম পর্যন্ত সমস্ত ইনফরমেশন আপনার ব্রেনে ডিএন এর মধ্যে মজুদ রয়েছে। আপনার ব্রেনের ভিতরে রয়েছে পুরো দুনিয়ার অতীত ইতিহাস। বর্তমানে বিজ্ঞান তাই আমাদের ব্র্যান্ডকে জানার চেষ্টা করছে। একে রিভিল করতে চেষ্টা করছে, এবং কিছুদূর পর্যন্ত সফলত তারা হয়েছেন।

 

এখন পর্যন্ত এটি জানা গিয়েছে যে আপনার ব্রেনের ভিতরে কি অসাধারণ পাওয়ার মজুদ রয়েছে। যার ব্যাপারে আপনি এই আর্টিকেল পড়ার আগ পর্যন্ত হয়তো জানতেন না। যে সিক্রেট গুলো ব্যবহার করে, আপনি আপনার জীবনের অপরিণীয় উন্নতি করতে পারবেন। আপনার ব্রেনে দুই ধরনের শক্তি কাজ করছে। একটি হচ্ছে নরমাল মাইন্ড পাওয়ার। বা সচেতন মনের শক্তি। আরেকটি হচ্ছে সাবকনসেন্স মাইন্ড। বা অবচেতন মনের শক্তি। আর এই সাবকনসেন্স মাইন্ডি বিজ্ঞানীদের সব সময় হয়রান করে আসছে। আপনার ভয়, আপনার ইচ্ছা, আপনার স্বপ্ন, আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আপনার আচার-আচরণ সবকিছুর সোর্স আপনার এই সাবকনসেন্স মাইন্ড। আপনার  সাবকনসেন্স মাইন্ড আপনার প্রত্যেকটি মুহূর্তকে কন্ট্রোল করছে।

যদি আপনি আপনার এই সাবকনসেন্স মাইন্ড কে ভালোভাবে বুঝতে পারেন। তাহলে, আপনি আরও বেশি স্মার্ট, আরো বেশি ইন্টেলিজেন্ট, আরো বেশি হেলদি, আরো বেশি ক্রিয়েটি এবং আরো বেশি মোটিভ্যাটেড হতে পারবেন। আপনার যতগুলো সেন্স রয়েছে। যেমনঃ দৃষ্টি, শ্রবণ, ঘ্রাণ, এগুলোর পারফেক্ট হারমনি আপনার সাবকনসেন্স মাইন্ড-ই কন্টোল করে থাকে। আমাদের ব্রেনে এমন কিছু প্রসেস রয়েছে, যা সব সময় চলতেই থাকে। যেগুলোর ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। কারণ, সেগুলো সাবকনসেন্স লেভেলে হয়ে থাকে। আপনার সাবকনসেন্স মাইন্ড পর্দার পেছনে লাগাতার কাজ করে যাচ্ছে। তো চলুন আজকে জেনে নেয়া যাক, এই সাবকনসেন্স মাইন্ডের পাওয়ার আসলে কতটুকু?

বডি ল্যাঙ্গুয়েজ

বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এর ব্যাপারে আপনারা অবশ্যই শুনেছেন। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ জিনিসটা আসলে আপনার সাবকনসেন্স মাইন্ডের ভাষা। আপনার আশেপাশের লোকেদের মাঝে, এর খুব গভীর প্রভাব পড়ে। যেমন একটি লোক একটি রুমের মধ্যে বসে আছেন। তার এই বসে থাকার কারণে তার ভেতরে একটি প্রেজেন্ট ফিল হয়। একই ধরনের ভাইপ ফিল হয় সেই মানুষটির থেকে। অথবা কেউ যখন চলাফেরা করে। তখন তার চলাফেরার ধরন থেকে। কিছু ফিল করা যায় যে এই মানুষটি কেমন হবে।

যদি আমি মুখ বাঁকা করে আপনাদের কিছু ফ্যাক্ট এর কথা বলি। তাহলে আপনার কাছে কেমন ফিল হবে। যে কোন মানুষের ভাইপকে আমাদের সাবপনসেন্স মাইন্ড ফিল করতে সাহায্য করে। মেকআপ মেকওভার এর মাধ্যমে মানুষ কনসেন্সলি দেখতে সুন্দর দেখা যায়। কিন্তু রিয়েল যে ফ্যাক্ট রয়েছে, একটি মানুষের ন্যাচারাল ফ্যাক্ট। তা কিন্তু সাবকনসেন্সে ফিল করা যায়। কনসিয়াসলি করা যায় না। সাবকনসেন্সলি ফিল করতে হয়। যা মানুষ ফিল করতে পারে শুধুমাত্র আপনার ভাইপ থেকে। বা আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে প্রকাশ হয়।

যাদের মাইন্ড হেলদি এবং যারা সাধারণ মানুষের থেকে ইন্টালিজেন্ট হয়। তারা সবকিছুকে ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে দেখার অভ্যাস গড়ে তুলে। তারা দিন দিন আরও স্মার্ট এবং ইন্টেলিজেন্ট হতে থাকে। তাদের থেকে ভিন্ন ধরনের এনার্জি এবং ভাইপ বের হয়। যা অন্য মানুষরা ফেল করতে পারে। আর যারা সাধারন তাদের থেকে এই ধরনের ভাইপ বের হয় না। বিজ্ঞান সাবকনসেন্স মাইন্ডের ক্ষমতাকে সবেমাত্র উপলব্ধি করতে পেরেছে। এখনো এর অনেক কিছু আবিষ্কার করা বাকি রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ উদ্যোক্তা কাকে বলে? কিভাবে সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায়?