আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকের আলোচনার বিষয়ঃ স্মার্টনেস কি? স্মার্টনেস বলতে আসলে কি বোঝায়? এবং আপনি কিভাবে খুব সহজেই একজন স্মার্ট ব্যক্তি হতে পারেন। তাই, আপনি যদি একজন ইস্মার্ট ব্যক্তি হতে চান। তাহলে, আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
স্মার্টনেস কি?
স্মার্টনেস শব্দটি মূলত মানুষ এবং সমাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের সাথে আপনার আচার-আচরণ এবং চলাফেরার মধ্যে দিয়েই স্মার্টনেস প্রকাশ পায়। আপনি আপনার জীবনে যত বেশি স্মার্ট হবেন। আপনার জীবনযাপন ও লাইফস্টাইল তত বেশি নিখুঁত হবে।
স্মার্ট মানুষদের কিছু গুণ।
সততা এবং ওয়াদা রক্ষা করা, ইতিবাচক চিন্তা করা, কারো সাথে কথা বলার সময় মুখে হাসি এবং চোখে চোখ রেখে কথা বলা, সব সময় কথোপকথন সংক্ষিপ্ত করা, প্রয়োজন অনুযায়ী কথা বলা, প্রয়োজনের থেকে বেশি কথা না বলা, নতুন মানুষের সাথে বিতর্কিত বিষয় নিয়ে কথা না বলা, উৎসাহদান এবং ভালো কাজের প্রশংসা করা। উৎসাহদান এবং ভালো কাজের প্রশংসা করা, অন্যের কথা মনোযোগ সহকারে শুনে এরপর উত্তর দেয়া।
চলুন, এবার জেনে নেই স্মার্ট হওয়ার পাঁচটি সহজ উপায় সম্পর্কে। স্মার্ট হওয়ার সেরা পাঁচটি উপায়।
১. ইতিবাচক অভ্যাস করুন।
ভালো অভ্যাসই পারে একজন মানুষকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে তৈরি করতে। কিছু অভ্যাস আছে, যেগুলো আপনি আপনার মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে, আপনি খুব সহজেই স্মার্ট হতে পারবেন। প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুনঃ প্রতিদিন কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করুন। এবং আগের শেখা বিষয়গুলো রিভিশন দিন। প্রতি সপ্তাহের রুটিন করুনঃ আপনি প্রতি সপ্তাহে কি কি কাজ করবেন, তার একটা রুটিন তৈরি করুন। এর ফলে আপনার কাজের প্রডাক্টিভিটি বাড়বে। সেই সাথে আপনার কোন কাজও বাদ পড়বে না।
২. সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় কথা বলুন।
ছোট-বড় প্রত্যেকটা মানুষের সাথে সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় কথা বলার অভ্যাস তৈরি করুন। স্মার্টনেসের একটি বড় গুণ হচ্ছে সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় কথা বলা। মানুষের সাথে কথা বলার সময় মুখে হাসি এবং চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। কেউ আপনাকে কোন কথা বললে আগে তার কথা মনোযোগ সহকারে শুনুন এর পরে আপনি আপনার কথা বলুন। আপনি কারো কথা মনোযোগ সহকারে শুনলে। তার মনের মধ্যে আপনার জন্য একটি পজিটিভ চিন্তাভাবনা তৈরি হবে। এবং সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করুন।
৩. ঠান্ডা মেজাজে এবং ধীরে সুস্থে কাজ করুন।
স্মার্ট মানুষেরা সব সময় যেকোনো কাজ ঠান্ডা মেজাজে এবং ধীরে সুস্থে করার চেষ্টা করে থাকে। অফিসে বা যেকোন কাজে আপনার ঠান্ডা মেজাজে ও ধীরেসুস্থে কাজ করার সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। হুটহাট করে মেজাজ গরম করে ফেলবেন না বা রেগে যাবেন না। আমরা সকলেই একটি বিখ্যাত উক্তির কথা জানি। “রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন” তাই, ধীরে সুস্থে ও ঠান্ডা মাথায় কাজ করার অভ্যাস তৈরি করুন।
৪. শিক্ষিত ও স্মার্ট লোকজনের সাথে চলুন।
বুদ্ধিমান, নেতিবান ও আকর্ষনীয় মানুষদেরকেই স্মার্ট বলা হয়। তাই আপনাকে নেতিবান ও বুদ্ধিমান মানুষের সাথে বেশি মিসতে হবে। ভালো মানুষের সাথে চললে আপনি ভালো কিছু শিখতে পারবেন। তেমনি, খারাপ মানুষের সাথে চললে আপনি খারাপ কিছু শিখতে পারবেন। এটাই স্বাভাবিক। তাই স্মার্ট হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই শিক্ষিত ও স্মার্ট মানুষদের সাথে চলতে, মিশতে ও আড্ডা দিতে হবে। শিক্ষিত স্মার্ট মানুষদের থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। আপনি স্মার্ট মানুষদের সাথে চলে তাদের থেকে ভালো কিছু অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। যা আপনাকে স্মার্ট হতে ও এক ধাপ উন্নত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
৫. সময়ের মূল্য দিন এবং নতুন নতুন আইডিয়া বের করুন।
সময়ের মূল্য দেওয়া ও নতুন নতুন আইডিয়া বের করে কাজ করা স্মার্ট মানুষদের বড় একটি বৈশিষ্ট্য। যারা নতুন নতুন আইডিয়া বের করে কাজ করার চেষ্টা করে তারা অন্যদের চেয়ে বেশি স্মার্ট হয়ে থাকে। স্মার্ট হতে হলে অবশ্যই আপনাকে সময়ের সঠিক মূল্য দিতে হবে। সব সময় নিজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তা কে কাজে লাগিয়ে অভিনব কিছু আইডিয়া উদ্ভাবন করার চেষ্টা করতে হবে। তাই, সময়ের সঠিক মূল্য দিন। তাহলেই স্মার্ট হতে পারবেন এবং নতুন ও ভালো কিছু তৈরি করার সক্ষমতা তৈরি হবে।